রিয়াদ হাসান: [৩] বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতেই হবে। এই সরকারকে আমরা মানতে বাধ্য নই। এটা আমাদের ভোটের লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। রাজপথে যখন নেমেছি, রাজপথে থেকেই আমাদের অধিকার আদায় করতে হবে।

[৪] শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাতিল, খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে এই কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করে বিএনপি। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এটাই বিএনপির বড় কর্মসূচি।

[৫] মঙ্গলবার সারাদেশে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন,‘অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি দেশের সকল মহানগর, সকল জেলা, সকল উপজেলা-থানায়, সকল পৌর সভা অর্থাৎ সকল ইউনিটে কালো পতাকা মিছিল হবে। আপনারা জনগণকে নিয়ে সেদিনটিতে কালো পতাকা মিছিল করে প্রতিবাদ জানাবেন এই সরকারকে।’

[৬] গয়েশ্বর বলেন, ৭ই জানুয়ারি মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায় নাই। ৭ শতাংশের বেশি  মানুষ ভোট দেয়নি। শেখ হাসিনা সাত পার্সেন্ট ভোটের মালিক। আর ৯৩ শতাংশ মানুষের নেতা তারেক রহমান। সরকারের মানসম্মান ও লাজ-শরম থাকলে জনগণের ভোটাধিকার ফেরত দেন। দেখেন ১ শতাংশ ভোট পান কি না?

[৭] বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, সেদিন একজন বিজিবি সদস্যকে হত্যা করেছে। কেনো কীসের অধিকারে তারা এটা করছে? কেনো একটা প্রতিবাদ নেই? আজকে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন। কারণ অন্য কেউ যখন দেশের সিদ্ধান্ত নেয় তখন তো আমার সার্বভৌমত্ব থাকে না।

[৮] বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, সরকার কেবলই লুটপাট করে। তারা চায়না থেকে টাকা এনে ১০ টাকা খরচ করে আর ভাউচার লেখে ২০০ টাকা। এই লুটপাট দেশের মানুষ মানতে পারে না। আমরা রাজপথে আছি এবং রাজপথেই থাকবো। সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য যদি মৃত্যু হয় হবে। শিয়াল-কুকুরের মতো বাঁচতে চাই না। সিংহের মতো বাঁচতে চাই। আমাদের কতো মারতে পারবেন মারেন না। তারপরও আপনার ধ্বংস অনিবার্য।

[৯] বক্তব্য শেষে কালো পতাকা মিছিলের উদ্বোধন করেন গয়েশ্বর রায়। মিছিলটি নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে ফকিরাপুল, আরামবাগ মোড় ঘুরে নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী